21 May 2021

অভিশপ্ত বাড়ি

সন্দীপ-ছন্দা কেষ্টপুরে একটা পুরনো বাড়ি কিনল। মালিক অনিমেষ সরকার একা মানুষ,বিয়ে থা করেননি। ওনার বাবা-মা ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে পাকাপাকি চলে যাবার পরে, তিনিও এই বাড়িটা বিক্রি করে দিয়ে কোথায় চলে গেলেন। কিন্তু বাড়িটায় বড় অযত্নের ছাপ, বড় নোংরা চারিদিক, কোন মেনটেনেন্স নেই। ধীরেন বলে পাশের চায়ের দোকানের একটা ছেলেকে দিয়ে, একতলাটা পরিষ্কার করাতে গেল ওরা। হঠাৎই রান্নাঘরে সব নোংরা সরিয়ে, দেওয়ালে লাগানো ঐকটা ওয়ালপেপারের কোনটা উঠে যেতেই, সেটা আলগা হয়ে খুলে গেল। বেরিয়ে পড়ল একটা কাঠের দরজা। ঔদিকে কী আছে, কোন গুপ্তঘর? ততটা জায়গাই বা কোথায়? ওরা অবাক হল। শেষে দরজা ভেঙে ওরা গুপ্তধনের লোভে ঘরে ঢুকল। ঘর তো নয় একটা সরু প্যাসেজ, ওপাশের ঘরের মধ্যে একটা ফলস ওয়াল তুলে এটাকে আলাদা করে রাখা হয়েছে, কেউ জানতেও পারতো না ওয়ালপেপারটা না খুলে গেলে। ভেতরে ঢুকতেই বোঁটকা গন্ধ, দেখা গেল পরপর সাজানো রয়েছে ছ-ছটা ট্রাঙ্ক। কি আছে ট্রাঙ্কগুলার ভেতর? টাকা পয়সা, ধনরত্ন, গুপ্তধন? বীরেন একটার তালা ভেঙে খুলে ফেলল। আর তক্ষুনি ভক্ করে একটা পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ল গোটা ঘরময়। ভেতরে শোয়ানো রয়েছে এক মহিলার পচা গলা সিমেন্টে জমানো ডেডবডি। পুলিশ এসে উদ্ধার করল ছ- ছটা এরকম ডেডবডি সবই কম বয়সী মহিলাদের। চেপেচুপে ঢুকিয়ে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে দেওয়া হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছিল খুনগুলো বেশ কিছুদিন আগে করা হয়েছে। বাগানে সন্দেহের বশে খোঁড়াখঁড়ি করতে গিয়ে, বেরিয়ে এল আরো দুটো লাশ।বাড়ির মালিক অনিমেষ সরকারের খোঁজে পুলিশ চারিদিকে হন্যে হয়ে ঘুরতে লাগল। তারপর কি হল? অনিমেষ কি ধরা পড়ল? এই সিরিয়াল কিলার রহস্যের পুরোটা জানতে গেলে, পড়তে হবে গল্পটা।

No comments:

Post a Comment