21 May 2021

সিল্কের কাপড়

কুটে ছিল এক সাদামাটা চোর, রাতে ছিঁচকে চুরি করে বেড়াত। থাকত শোভাবাজারের আনন্দ লেনে একটা টিনের ঝুপড়িতে। পাশেই থাকত পচা, সে বড় মাপের ওয়াগণ ব্রেকার ছিল, কিন্তু কুটের অত সাহস ছিল না। 'কি দরকার বাবা, শুনেছি গুলিটুলিও চলে।', ও বলত। 'দুর, রিস্ক না নিলে লাইফে পয়সা আসবে কোত্থেকে? আমার কামাইটাও দেখ।', পচা বলত। 'আমার অত পয়সা চাইনা। একা মানুষ ।' 'তোর জীবনে কোন উন্নতি হল না।' এই কুটের জীবনই হঠাৎ একদিন আমূল বদলে গেল। একদিন মুরগির লড়াই দেখে, মেথরপট্টির সামনে দিয়ে ফেরার সময়, হরেক মাল দশ টাকার একটা ঠেলা যেতে দেখে, ওর চোখ আটকে গেল ঠেলায় ঝোলানো অদ্ভুত একটা ফুটতিনেক লম্বা হলুদ রঙের সিল্কের কাপড়ের দিকে। যেটার একদিকে আবার গিঁট দেওয়া। কুটে বুঝতে পারল, এটা কোন সাধারণ কাপড়ের টুকরো নয়। এটা ঠগীদের ফাঁস দেওয়ার কাপড়, যেটা দিয়ে দুশো বছর আগে তারা পথিকদের খুন করে সবকিছু কেড়ে নিত। কুটে সিল্কের কাপড়টা কিনে ফেলল আর তারপর সোনাগাছিতে শেফালি বলে যে মাগির বাড়িতে মাঝেমধ্যেই যেত, সেখানে চলে গেল। শেফালির সঙ্গে ওর ইদানিং প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হচ্ছিল, অন্য একটা উঠতি মেয়ের দিকে কুটে ঝুঁকেছিল বলে। সেবারও শেফালির সঙ্গে সারারাত জগড়া ঝাটি হবার পরে, ভোরবেলায় সব শান্ত হয়ে গেল। বেলার দিকে মালকিন বুড়িদি শেফালির ঘরের দরজা ঠেলে খুলতেই, অবাক হয়ে গেল। ঘরে কুটে নেই আর বিছানায় উপুড় হয়ে পড়ে আছে শেফালি। তার গলায় একটা হলুদ রুমাল শক্ত করে বাঁধা। বুড়িদি চিৎকার করে উঠল। পুলিশ কুটের খোঁজে চারিদিকে তোলপাড় করে ফেলতে লাগল। কুটে তখন পালিয়ে গেল মানিকতলার বস্তিতে। সেখানেই তার সঙ্গে আবার দেখা হয়ে গেল শেফালির প্রেতাত্মার। কি হল তারপর? শেফালির প্রেতাত্মা কি কুটের ওপর প্রতিশোধ নিতে এসেছিল? জানতে গেলে পড়তে হবে পুরো গল্পটা।

No comments:

Post a Comment