21 May 2021

জয়দেববাবুর মাফলার

জয়দেববাবু একটা প্রাইভেট কোম্পানীতে অ্যাকাউন্টেন্টের কাজ করতেন। সাধারণ বিকম পাস, তিনতলার অফিসের ঘরে আলো-বাতাস সেরকম ঢুকত না। কম্পিউটার আর ফাইলে মুখ গুঁজে জয়দেববাবুর দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল। হঠাৎ মালিক প্রকাশ আগরওয়াল ওকে দেখে পাঠালেন। কিছু পুরনো অ্যাকাউন্টের হিসাব মিলছে না। জয়দেববাবু জানতেন মালিকের ছেলে হেমন্ত আগরওয়াল প্রায়ই কোনরকম রিসিট ছাড়াই কিছু কিছু টাকা সরাত, আর শোধ করত না। বেশ কিছু টাকা নানা কায়দায় নিজের অ্যাকাউন্টেও সরিয়ে নিত, কিন্তু তার হিসাবপত্র দিত না। সেই অ্যাকাউন্টের ব্যাপারেই জয়দেববাবুকে আগরওয়াল সাহেব প্রচন্ড বকাঝকা করলেন। অ্যাকাউন্টের হিসাবটা না মেলাতে পারলে, জয়দেববাবুর মাইনে থেকেই সব টাকা কেটে নেওয়া হবে। শুনে তো জয়দেববাবুর রাতের ঘুম চলে গেল, এতগুলো টাকা তো তার গলায় ফাঁস হয়ে বসবে! তিনি কি সারা জীবনেও শোধ করতে পারবেন? শেষে মাইনেটা শূন্য হয়ে দাঁড়াবে, খাবেন কি? সাদাসিধা চুপচাপ জয়দেববাবু মালিকের এই অন্যায়ের কোন প্রতিবাদ করতে পারলেন না। বিরস বদনে পরের দিন অফিসে যেতেই, ছোট মালিক হেমন্ত আগরওয়ালও তাকে ফোন করে হুমকি দিতে লাগলেন। 'আমার নামে কমপ্লেন করলে আপনার কি অবস্থা হবে বুঝতে পারছেন তো? চুপচাপ হিসাবটা মিলিয়ে দিন, না হলে কিন্তু আমার অনেক গুন্ডা আছে, বন্দুকও আছে।' হেমন্তর হুমকি শুনে জয়দেববাবু হতবুদ্ধি হয়ে গেলেন। জয়দেব বাবু এই বিপদ থেকে উদ্ধার পেলেন কি? কী হল তারপরে? রোমহর্ষক গল্পটা বাকিটা পড়তেই হবে।

No comments:

Post a Comment