18 May 2021

ছদ্মবেশী

প্রায় দুশো বছর আগেকার কথা জার্মানির নুরেমবার্গ শহরে হঠাৎ একটা অপরিচিত বাচ্চা ছেলে রাস্তা দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে যাচ্ছিল, হয়তো কোন চোট-আঘাত পেয়েছে। অনেকক্ষণ উদ্দেশ্যহীন হাঁটাহাঁটি করার পরে, ছেলেটা পরিশ্রান্ত হয়ে রাস্তার ধারে বসে পড়ল। এক মুচিকে পেয়ে, তার হাতে একটা সিল করা চিঠি ধরিয়ে দিল। চিঠিটা লেখা হয়েছে দেশের সেনাবাহিনীর প্রধানকে। থানায় নিয়ে যাওয়া হলে, ছেলেটা তোতলাতে তোতলাতে বলল, 'আমি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাই, আমার বাবা তাই চেয়েছিলেন।' কিন্তু নিজের পরিচয় কিছুই বলতে পারল না। তখন চিঠিটা খোলা হল। গোটা গোটা অক্ষরে লেখা, 'আমি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাই, আমার বাবা যেমনটি চেয়েছিলেন'। তারপর অন্য একজনের হাতের লেখায় লেখা ছিল, 'আমি আপনার কাছে এই ছেলেটিকে পাঠাচ্ছি। ওকে আমার বাড়িতে ষোল বছর আগে রেখে যাওয়া হয়েছিল। আমি একজন সাধারন গরিব শ্রমিক, অনেকগুলো ছেলে মেয়েও আছে। তাদের দেখভাল করতে গিয়েই আমি জেরবার। তাই আর আমি ওর ভরণপোষণ করতে পারছি না। আমি ওকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে বাধ্য হলাম। যদি আপনারাও ওর দেখভাল করতে না পারেন, তাহলে ওকে মেরে ফেলতে পারেন বা চিমনি থেক ঝুলিয়ে দিতে পারেন।' চিঠির নিচে কারো নাম সই করা ছিল না। পুলিশ অফিসাররা বুঝলেন, এই ছেলেটার কোন বাবা-মা নেই। নিশ্চয়ই ওকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অথবা ছেলেটি কোন অযাচিত বা অবৈধ সন্তান। কে ছিল সেই ছেলেটা? রাজ পরিবারের লোক কেন তার খোঁজ নিতে আসত? ঠিক ষোল বছর আগে রানীর যে পুত্র সন্তান মৃত প্রসব হয়েছিল বলে জানানো হয়েছিল, এ কি সেই? না হলে রানী কেন ছেলেটির কথা জেনে কেঁদেছিলেন? কেনই বা ছেলেটিকে খুন করার জন্য বারবার চক্রান্ত হয়েছিল? শেষ পর্যন্ত কি হল? জানতে গেলে পড়তে হবে পুরো গল্পটা।

No comments:

Post a Comment