আমি আবেগ ও অনুভূতিপ্রবণ,ভাবুক আর সৃষ্টিশীল।জীবনের চলা,ওঠাপড়া আর অভিজ্ঞতা নিংড়োনো এই সব লেখা ।এ আমার পাগল মনের নিঃশেষিত প্রকাশ।
18 May 2021
উ-ভয় সংকট
উৎপল একটা বেসরকারি কোম্পানির কলকাতার হেড অফিসে চাকরি করত। স্ত্রী, পুত্র বৃদ্ধা মা নিয়ে সুখের সংসার। কিন্তু হঠাৎ কোম্পানির অর্ডার, মুম্বাই ট্রান্সফার হয়ে যেতে হবে।কিন্তু উৎপল, পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে কি করে যাবে মুম্বাই? প্রিয় শহর কলকাতা ছেড়ে ও কিছুতেই যেতে চাইল না। কাকুতি-মিনতি করা সত্বেও বস রাজি হল না। উল্টে হুমকি দিল ট্রানস্ফার না নিলে, রেজিগনেশন দিতে হবে। উৎপল দুদিন ভাবল, তারপর স্থির সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল। মুম্বাইতে গিয়ে ও কিছুতেই থাকতে পারবে না। টাকা পয়সা কিছু জমানো আছে, তার সঙ্গে কিছু টিউশনি করেই ও কোনরকমে সংসার চালিয়ে নেবে। অফিসে গিয়ে ও রেজিগনেশনই দিয়ে দিল।
চাকরিটা ছেড়ে দেওয়ার পরেই উৎপলের জীবনটা, দশটা-পাঁচটার রুটিনের বাইরে হয়ে গেল। এই অবসর জীবনটা নিয়ে এবার ও কি করবে, কিছুতেই বুঝে উঠতে পারল না। কারো অত সময় নেই, যে ওর সঙ্গে সময় কাটাবে। সবারই নিজস্ব কাজকর্ম রয়েছে। তখন উৎপল বাড়িতে থাকা পুরনো বইগুলো ঘাঁটাঘাঁটি করতে শুরু করল। ওর পারিবারিক অনেক বইয়ের সংগ্রহ ছিল, যেগুলো এতদিন ও পড়ে উঠতে পারেনি। সেগুলো ও এবার পড়তে শুরু করল। পড়তে পড়তে ওর মনে হল, এসব কথা তো ওর নিজেরও হতে পারে, নিজে লিখে ফেলতে অসুবিধাটা কোথায়? ও দেখল, টাকা দিলেই কবিতাগুলো ছাপা হয়, সার্টিফিকেট, প্রাইজ পাওয়া যায়।
তারপর উৎসাহে ও গল্প লিখতে লাগল।কিন্তু কত আর টাকা খরচ করে সেসব ছাপানো যায়? ওর অনেক টাকা খরচা হয়ে যাচ্ছিল। ওকে বন্ধুরা বুদ্ধি দিল ভুতের গল্প লিখতে। কিন্তু ভূতের গল্প লেখার মত উৎপলের কোন অভিজ্ঞতাই ছিল না। ও জীবনে ভূত দেখেনি, তিহশে কি করে লিখবে ? তখন ওর বন্ধুরা ওকে বুদ্ধি দিল, কলকাতা সব ভুতুড়ে জায়গাগুলো দেখে আসতে। ঐ সব জায়গায় একা একা রাত কাটাতে। তাহলেই ভৌতিক অভিজ্ঞতা হবে, আর সেইসব নিয়ে ও সহজেই রোমহর্ষক সব ভূতের গল্প লিখে ফেলতে পারবে। উৎপল মনে মনে একটু ভয় পেলেও, শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে গেল। এরপর কি হল জানতে গেলে পড়তে হবে পুরো গল্পটা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment