9 April 2020

মণিরহস্য

রোডস ডিপার্টমেন্টের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সৌরনীলের পোস্টিং তখন রেশিখোলায়। জঙ্গলের ভিতরে নদীর ধারে সরকারি বিশাল বাংলো। এক সন্ধ্যেবেলা বারান্দায় বসে বসে ও সেদিন চা খাচ্ছে, সঙ্গে পবনের বানানো চিকেন পকোড়া। পাশেই জঙ্গল, কানে আসছে নদীর জলের কুলুকুলু আওয়াজ । হঠাৎ একটা বিজাতীয় মৃদু একটানা ঘড়ঘড় শব্দ ওর কানে আসতে লাগল। বাধ্য হয়েই ইজিচেয়ার ছেড়ে উঠে পড়ল ও। পবনকে জিজ্ঞেস করতে বলল, ‘আর বলবেন নাইকো বাবু, নদীর ধারে মিল বসিছে।‘ -এই জঙ্গলে মিল বসেছে! আর জায়গা পেল না? তা কিসের মিল রে, জানিস না কি? -সে জানিনাকো বাবু, উদিকে যাওয়া মানা আছে। যা শুনলাম তাই কইছি। এই অন্ধকারে নদীর ধারে যাওয়া সম্ভব নয়। জায়গাটাও নিরাপদ নয়। সাপখোপ ছাড়াও হিংস্র জন্তু জানোয়ারের আনাগোনা আছে। কিন্তু এই পান্ডববর্জিত জায়গায়, এরকম নিবিড় জঙ্গলের মধ্যে, কিসের মিল বসতে পারে আর রাতের অন্ধকারে তা চালিয়ে কারই বা কি লাভ, সেটা সৌরনীলের মাথায় ঢুকল না।বরং ওর একটু খটকা লাগল। যাই হোক, পরের দিন সকালে, চা-টা খেয়ে ও যথারীতি হাঁটতে বেরোল। ঢালু পায়ে চলা পথটা সোজা নদীর দিকে চলে গেছে।বেশ কিছুটা হেঁটে গিয়ে দেখল, খানিকটা জায়গা পরিষ্কার করে দুটো তাঁবু পাতা হয়েছে, তার পাশে সার সার কটা সোলার প্যানেল, আর তারও পাশে চেয়ার পেতে বসে আছে দুজন ষন্ডামার্কা লোক। সাথে একটা গ্রে-হাউন্ড কুকুর। ওকে দেখেই কুকুরটা ঘেউঘেউ করে তেড়ে এল। অবশ্য লোকদুটো তাড়াতাড়ি কুকুরটাকে ধরে থামাল। তারপর সৌরনীলের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। ও ততক্ষনে দেখে নিয়েছে অপ্রশস্ত নদীর বুকে এপার থেকে ওপার একটা পাটাতনের ব্রিজ পাতা রয়েছে। তার মধ্যে অনেকগুলো বালতিওয়ালা চাকা ঘোরানোর ব্যবস্থা। এখন অবশ্য সেটা বন্ধ। সৌরনীল নিজের আসল পরিচয়টা চেপে গিয়ে, হেসে বলল, ‘মানে আমি পাশেই থাকি আর কি, আপনারা কোথা থেকে এসেছেন, জানতে পারি কি?’ ফর্সা ষন্ডা লোকটা বলল, ‘আমরা মাইনিং ডিপার্টমেন্টের লোক। এখানে গভমেন্ট প্রজেক্ট হচ্ছে।‘ হেসে, কিছু না বোঝার ভান করে, ওদের আর না ঘাঁটিয়ে, ও ওখান থেকে চলে এল। চারপাশটা একটু লক্ষ্য করে মনে হল, যে বেশ বড়সড় কোন কর্মকান্ড চলছে। আরো দুটো লোক তাঁবুর ভেতর থেকে মুখ বাড়িয়ে ওকে দেখছে বলেও মনে হল। মোটের ওপর ও বুঝতে পারা গেল, এখানে কিছু একটা গোলমেলে ব্যাপার চলছে, কিন্তু সেটা যে কি তা স্পষ্ট হল না। বাড়ি না ফিরে, ও সোজা চলে গেল ওর পরিচিত, স্কুলের হেডমাস্টার ব্রজেনবাবুর বাড়ি। ব্যাপারটা খুলে বলতেই উনি বললেন, ‘তাই নাকি? নদীর মধ্যে মেশিন লাগিয়ে গভমেন্ট প্রজেক্ট! বাপের জন্মেও শুনিনি মশাই।‘ পরপর ক’দিন সন্ধে থেকে গভীর রাত অব্দি, এরকম একটানা মেশিনের শব্দ চলল। হাল্কা, কিন্তু একটু কান খাড়া করলেই বেশ শোনা যায়। ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরেট অফিসে সৌরনীলের এক বন্ধু শুভঙ্কর কাজ করে। ব্যাপারটা খুলে বলতে, ও বলল, ’তুই আবার এসব ঝুটঝামেলার মধ্যে ঢুকছিস কেন? বরং লোকাল থানার ওসিকে ব্যাপারটা একবার জানিয়ে রাখ।‘ পরের রবিবার সকালে ওর নদীর দিকটা আর একবার সরেজমিনে দেখতে ইচ্ছে হল। ব্রজেনবাবুও সঙ্গে ছিলেন। দু’জনে নদীর দিকে বেশ কিছুটা এগিয়ে গিয়ে, একটা বড় পাথরের আড়াল থেকে সব দেখতে লাগল। দেখল একটা সাইকেল ভ্যান নদীর পাশে মাটিতে দাঁড় করানো আছে, আর তাতে কয়েকটা কাঠের পেটি ভর্তি নানা রকম নুড়িপাথর তোলা হয়েছে। এরকম সব নুড়িপাথর তো কতই এই অঞ্চলের নদীতে থাকে,ওরা রাস্তা তৈরী করতেও প্রচুর ব্যবহার করে। এদের বাক্সভর্তি করে নিয়ে যাবারই বা কি আছে! ব্রজেনবাবু বললেন ‘পাহাড় থেকে নদীতে নানারকম দামী পাথর নেমে আসে জানি। সেগুলো নানা খনিজ সম্পদে ভরা, কিছু কিছু বেশ দামীও। এগুলো সেরকমই কিছু নয় তো?’ কাছাকাছি কেউ নেই। একটু দূরে ভ্যানওয়ালা আর কালকের সেই ফর্সা লোকটা নদীর ধারে গিয়ে কি সব আলোচনা করছে। এই সুযোগ, পাথরের আড়াল থেকে বেরিয়ে সৌরনীল বাইরে গিয়ে দেখে, হাতবিশেক দূরেই এক জায়গায় ঐরকমই বেশকিছু সাদা নুড়িপাথর ডাঁই করে রাখা রয়েছে, পরে বাক্সভর্তি করা হবে বলে।ও চুপিচুপি একছুটে ওখানে গিয়ে, একমুঠো পাথর কুড়িয়ে নিয়েই, হাঁফাতে হাঁফাতে আবার পাথরের আড়ালে ফিরে এল। যাক, কেউ দেখতে পায় নি। বিকেলে সৌরনীল পাথরক’টা নিয়ে ওর বন্ধু কুণালের বাড়ি গেল। কুনাল মেটালার্জিস্ট, স্টিল প্ল্যান্টে চাকরি করে। ও পাথরটা নেড়েচেড়ে দেখে, তারপর কি একটা যন্ত্র দিয়ে একটা কোনা ভেঙে, একটা প্লাস্টিকে ভরে ফেলল। বলল, ‘মাইক্রোস্ট্রাকচার অ্যানালিসিস করতে হবে, তবে মনে হচ্ছে এটা সাধারণ গ্র্যাভেলই, খুব দামি কিছু নয়। তোকে আমি কাল জানিয়ে দেব।‘ সৌরনীলের মনটা একটু দমে গেল। তবে কি ফালতু সন্দেহ করেছিল! নুড়িপাথর মাত্র। তাহলে পবন যে বলছিল, গ্রামের লোকদের নাকি গুন্ডাদুটো ভয় দেখিয়ে রেখেছে। নদী থেকে সাধারণ নুড়ি পাথর তোলার জন্য, এত গোপনে মেসিন বসিয়ে, কেউ এত খরচা করে নাকি? ওর সন্দেহটা মোটেই গেল না, মনে হল নিশ্চয়ই এর পিছনে অন্য কোন রহস্য আছে। পরের দিন সকাল সকাল নদীর দিকে আর একবার যাবার ইচ্ছেয়,সৌরনীল ব্রজেনবাবুকে আবার ডাকতে গেল। কিন্তু সেদিন উনি আর যেতে চাইলেন না, স্কুলে বেরিয়ে গেলেন। গতকাল সন্ধ্যায় দুটো অচেনা লোক এসে নাকি ওনাকে ভয় দেখিয়ে গেছে। ‘কাজটা ভাল হচ্ছে না মাস্টারমশাই’, বলেই বাইক চালিয়ে চলে গেছে। ব্রজেনবাবু বললেন, ’কি দরকার ভাই ওদের ঘাঁটিয়ে, ঝামেলা বাড়িয়ে? তার চেয়ে পুলিশই যা করার করুক না।‘ কিন্তু সৌরনীল জানে পুলিশ প্রমাণ ছাড়া কিচ্ছু করবে না, বাধ্য হয়ে ও একাই আবার হাজির হল, বড় পাথরটার আড়াল থেকে ব্যাপারটা ভাল করে দেখবে বলে। দেখে ভ্যানওয়ালাটা ভ্যান নিয়ে তখনই রওনা দিল। নদী থেকে শুঁড়িপথ ধরে বড়রাস্তায় আসতে আসতে, ও অন্য পথ ধরে আগেই সেখানে চলে এল। ওকে ফলো করতে হবে, কোথায় যায়। চায়ের দোকানের মাধববাবুর সাইকেলটা পাশেই দাঁড় করানো থাকে। ওটা চাইতেই পেয়ে গেল। মাধববাবু একটু অবাক হয়ে বললেন, ’হঠাৎ? সাইকেল নিয়ে? কি ব্যাপার?’ সৌরনীল বলল, 'এই একটা আর্জেন্ট ওষুধ কিনতে হবে মনে পড়ে গেল।এখনই আসছি।' সাইকেলটায় চেপে বসে, একটু দূরত্ব রেখে ও ভ্যানটাকে ফলো করতে লাগল। কিছুদূর গিয়ে হঠাৎ অযাচিত ভাবেই একটা সুযোগ এসে গেল। ভ্যানওয়ালাটা ভ্যানটাকে একটা গাছের নীচে দাঁড় করিয়ে, প্রাতঃকৃত্য সারতে জঙ্গলে ঢুকল। সৌরনীলও তাড়াতাড়ি সাইকেলটাকে একটু পেছনে গাছের আড়ালে লুকিয়ে, ঝটিতি এগিয়ে গেল। উপরের প্লাস্টিকটা টেনে সরিয়ে, একটা পেটির পাথরগুলো হাঁটকাতে লাগল। বেশ কিছু পাথর সরানো হয়ে গেছে, তখনও কিছু পায়নি, শুধুই নুড়িপাথর। ও বেশ একটু দোনামনায় পড়ে গেল। হঠাৎই পেটির তলা থেকে কি যেন একটা সূর্যের আলো পড়ে, চকচক করে উঠল। তাড়াতাড়ি আরো কিছু পাথর সরাতেই ও দেখল, ঠিক যা ভেবেছে তাই। লাল নীল সবুজ সব দামী দামী পাথর তলায় লুকোনো রয়েছে। ওর কাছে পুরো ব্যাপারটা পরিস্কার হয়ে গেল। তাড়াতাড়ি আবার আগের মত করতে না করতেই, জঙ্গলের ভেতর থেকে শিস দিতে দিতে ভ্যানওয়ালার ফিরে আসার শব্দ পাওয়া গেল। আর সাইকেল অব্দি যাবার সময় নেই। সৌরনীল প্লাস্টিকটা টেনে দিয়ে, রাস্তার ধারে একটা মাটির ঢিপির আড়ালে তাড়াতাড়ি লুকিয়ে পড়ল। ভাগ্যিস ভ্যানওলা কিছু সন্দেহ করল না, সোজা রওনা দিল। ফিরে এসেই, শুভঙ্করকে ফোন করে সব জানাতেই ও বলল, ‘করেছিস কি? তোকে বারণ করলাম না? নিজের বিপদ এইভাবে কেউ বাড়ায়? দাঁড়া, আমি দেখছি।‘ আধঘন্টা পরেই সৌরনীলের মোবাইলে একটা ফোন এল। ডিস্ট্রিক্ট ফরেস্ট অফিসার সৌম্যবাবু নিজে ফোন করেছেন। ওকে অবশ্য উনি কাজের সুবাদে আগেই চিনতেন। সব খুঁটিনাটি সৌরনীলের থেকে জেনে নিয়ে উনি বললেন, ’সে কি! এ তো মনে হচ্ছে ইল্লিগাল মাইনিং এর কেস। দেখতে হচ্ছে ব্যাপারটা। আসলে এই নদীখাতে উপরের পাহাড়ি এলাকার কোন না কোন খনি থেকে হীরে, চুনী, পান্না, নীলা, গোমেদ, স্ফটিক এসব নানা দামি পাথর বয়ে আসে। অনেকে কুড়িয়েও পেয়েছে। তবে এভাবে নদীতে সেপারেটর মেশিন বসিয়ে, চেলে পাথর লুঠ আগে কখনও হয়নি। এ তো মারাত্মক ব্যাপার দেখছি!’ সৌরনীল বলতে গেল, ‘স্যার, তাহলে ওদেরকে ধরবেন না কি?’ উনি একটু রেগে বললেন, ‘যা করেছেন, করেছেন। আপনার পুলিশকে না জানিয়ে, এইভাবে এত রিস্ক নেওয়া উচিত হয়নি। জানেন ওরা কত ফেরোসাস?’ ও ঘাবড়ে গিয়ে বলল, ‘তাহলে কি হবে?’ সৌম্যবাবু বললেন, ‘ভয় পাবেন না, তবে আজকে আর আপনি বাড়ি থেকে কোথাও বেরোবেন না, আর কাউকে কিছু বলবেনও না। আমি যা করার করছি।‘ তাই সই, বেকার একটা ছুটি গেল। সারাদিন সৌরনীলের একটু টেনশনে কাটল, ফোনে ফোনেই অনেক অফিশিয়াল কাজ সারতে হল। বিকেলে কুনাল এসে হাজির, প্রায়ই ওদের দাবা খেলা আর সেইসঙ্গে জমিয়ে আড্ডা হয়। ‘কি রে, আজ অফিসে যাস নি?’, ও জিজ্ঞেস করল। ও বেশি কিছু না বলে বলল, ‘পাথরটা অ্যানালিসিস করলি?’ ও বলল, ’হ্যাঁ, তা করেছি। তোরটা তো স্যান্ডস্টোন। তবে কোয়ার্টজাইট, ফেলস্পার, লাইমস্টোন আর ডলোমাইটও থাকে নদীখাতে। আমাদের স্টিলপ্ল্যান্টে প্রচুর লাগে, রাস্তা তৈরীতেও তো লাগে, তুই তো জানিস। নদীর ধারে ওরকম পাথর হাজার হাজার পড়ে আছে। তা তুই কি করবি?’ সৌরনীল তখন বাধ্য হয়েই কুনালকে পুরো ব্যাপারটা খুলে বলল। কুনাল সব শুনে বলল, ‘শোন, এখন মনে পড়ল। তোর বাংলোয় আসতে গিয়ে তখন দেখলাম, একটা অচেনা লম্বামত লোক গেটের কাছে ঘুরঘুর করছে। তোর চেনা?’ শুনে তো সৌরনীলের বেশ ভয় ভয় করতে লাগল, কেউ কি এবার ওর ওপরও হামলা করতে পারে? ওরা কি সব জেনে গেছে? ভাবল একবার শুভঙ্করকে জানানো যাক ব্যাপারটা। কিন্তু তার আগেই, আবার সৌম্যবাবুর ফোন এল। ‘কি ব্যাপার, বন্ধুর সঙ্গে খুব দাবা খেলা চলছে বুঝি? তা, ওনাকেও সব বললেন না কি?’ সৌরনীল তো অবাক, ‘না না, মানে স্যার, আপনি কি করে জানলেন?’ উনি হেসে বললেন, ‘ওনাকে ওসব বলে ঠিক করেন নি। যা হোক বলে দিন, উনি যেন আবার কাউকে বলে না বেড়ান। আপনাকে বারণ করে দিলাম না সকালবেলা?’ সৌরনীল একটু লজ্জিত হয়ে পড়ল। উনি ফোনটা ছেড়ে দিলেন। তবে ওর স্থির বিশ্বাস হল, কুনাল যাকে দেখেছে, সে নিশ্চয়ই পুলিশেরই লোক, সাদা পোষাকে ছিল। সেদিন দাবা খেলা আর তেমন জমল না। পরের দিন ভোরেই রেড হল এলাকাটায়। পবন সকালে এসেই খবর দিল, ‘পুলিশে পুলিশে ছায়ে গেছে গো।‘ সৌরনীল অবশ্য একটু পরে অফিশিয়াল খবরটা পেল, লোকাল থানার ওসির থেকে। লোকগুলোর সঙ্গে বন্দুক থাকলেও, বিশাল পুলিশ বাহিনী ওদের কব্জা করে ফেলেছিল। পেটিগুলো সার্চ করে পাওয়া গেল, উপরে কমদামি নুড়িপাথর রেখে, তলায় দামী দামী মণিমানিক পাচার করা হচ্ছিল। স্থানীয় কিছু এজেন্টও নাকি ওদের সাহায্য করছিল। বাক্সগুলো বিভিন্ন লাক্সারি হোটেলে পাঠানো হত। তারপর জেমস্টোন ডিলারদের মাধ্যমে দেশে বিদেশে পাচার হয়ে যেত। লোকগুলোর থেকে পাওয়া গেল প্রায় পঞ্চাশ কেজি এরকম নানা মূল্যবান পাথর, যার বাজারদর কয়েক কোটি টাকা। ডিস্ট্রিক্ট ফরেস্ট অফিসার, এসডিও, পুলিশ কমিশনার সবাই থানায় ডেকে, সৌরনীলকে বাহবা দিয়ে গেলেন। কিসব পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও জানালেন। সৌম্যবাবু হ্যান্ডশেক করার সময় হেসে বললেন, ‘একদিন যাব আপনার বাংলোয়, দাবা খেলতে। কি, অসুবিধে নেই তো?’ সৌরনীল হেসে ওনাকে নিমন্ত্রণ জানিয়ে রাখল। ওর মনটা প্রশান্তিতে ভরে গেল। শুধু একটা ভয়ানক সংগঠিত অপরাধ ধরা পড়ে সমূলে বিনষ্ট হল বলে নয়, প্রকৃতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা গেল বলেও। এবার থেকে শুধুই প্রকৃতির আদি অকৃত্রিম রূপকে যে আবার নিবিড় ভাবে পাবে, এটাই তো আসল পুরস্কার।

No comments:

Post a Comment