শীতের বিকেল, তখনও বেলা পড়ে আসেনি। বাড়ির বাগানে, তৈরী করা রকে বসেছিলুম। ছেলে আর মেয়ে দু’জনে এক ধারে ব্যাডমিন্টন খেলছে, গাছে গাছে ফুল ফুটেছে, চারদিকে বেশ আরামদায়ক পরিবেশ। সেই সবই দেখছিলুম। ভাবলুম, একটু চা হলে মন্দ হয় না। উঠতে যাব, তখনই একটা সাদা সেডান অ্যাপক্যাব এসে বাড়ির সামনে ঘ্যাঁচ করে দাঁড়াল।
কে এল ? গাড়ি থেকে প্রথমেই যে কমবয়সী ছেলেটি নামল, তাকে চিনি না।বাগানের গেটের কাছে এসে সে বলল, ’আমরা কলকাতা থেকে আসছি।এটা কি আপনার কোয়ার্টার?’ স্টিল প্ল্যান্টের এই কোয়ার্টারে, আমি অনেকদিন আছি।অনেকটা জমিতে একতলা বাংলোটা, সামনে পেছনে বাগান, প্রচুর বড় বড় গাছ।
যাই হোক, ছেলেটি কি কাজে আমার কাছে এসেছে,বোঝা গেল না। বললুম, ‘হ্যাঁ, বলুন?’ ছেলেটি সোজা গাড়ির পিছনের দরজাটা খুলে দিতেই, এক সাদা শাড়ি পরা পক্বকেশ বৃদ্ধা গাড়ি থেকে নেমে এলেন। দু’জনে আমার বাগানের দিকে উৎসুক ভাবে চেয়ে রইলেন। আমি তো তাদের কাউকেই চিনতে পারলুম না, অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলুম, ‘কাকে চাইছেন বলুন?’ ছেলেটি একটু লজ্জিত ভাবে বলল, ‘কিছু মনে করবেন না, আমার মা আপনাদের ঐ আমগাছটাকে একটু দেখবেন।‘ বৃদ্ধা ততক্ষনে গেটের কাছে এগিয়ে এসেছেন।আমি বিস্মিতভাবে গেটটা খুলে দাঁড়ালাম।
No comments:
Post a Comment