আমি আবেগ ও অনুভূতিপ্রবণ,ভাবুক আর সৃষ্টিশীল।জীবনের চলা,ওঠাপড়া আর অভিজ্ঞতা নিংড়োনো এই সব লেখা ।এ আমার পাগল মনের নিঃশেষিত প্রকাশ।
27 October 2020
পরিত্যক্ত গাড়ির রহস্য
'হ্যালো.. মিস্টার সৌরনীল বসু বলছেন?'
'হ্যাঁ, বলছি বলুন।'
'ওসি রাঘব সোম একটু কথা বলবেন, ধরুন। স্যার এই নিন।'
লাইনটা ট্রানস্ফার করতেই ওপাশে চেনা গলা।
'কে সৌরনীল? আমি রাঘবদা বলছি।'
'আরে, রাঘবদা বলুন। এত সকাল সকাল কি মনে করে?'
'একবার এয়ারপোর্ট থানায় এখনই আসতে পারবে? আর্জেন্ট।'
'আরে নিশ্চয়ই পারব। কিন্তু কেসটা কি?'
'একটা গাড়ি। মালিক বেপাত্তা। এসো, তারপর সব বলছি।'
ফোনটা কেটে যায়। সৌরনীলের রেডি হতে ঠিক পাঁচ মিনিট লাগে। চা-জলখাবারের পাটটা এখন তোলা থাক, পরে দেখা যাবে। রাঘবদার আর্জেন্ট ফোন মানে নিশ্চয়ই জটিল রহস্য, পুলিশ কুলকিনারা পাচ্ছে না। বেশকিছু এরকম কেসের সুরাহা করে সৌরনীল এখন পার্টটাইম গোয়েন্দা। পুলিশের কোন না কোন বড়কর্তার ফোন আসে, নানা কেসের ব্যাপারে হেল্প করার অনুরোধ নিয়ে।
সৌরনীল বেরিয়ে পড়ে, এখন দারুণ দারুণ সব এসি ইলেকট্রিক বাস হয়েছে। ভাড়াটা একটু বেশি হলেও আরামে যাওয়া যায়। সেরকমই একটা বাস পেয়ে গেল সৌরনীল। দমদম এয়ারপোর্টের দু'নম্বর গেটের সামনেই থানা। কাছেই পার্কিং লট আর একটু দূরেই এয়ারপোর্টের মূল দরজা। থানায় রাঘববাবু ওর জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। 'চলো,পার্কিং লটে চল,দেখাই তোমায়।' বলে রাঘববাবু উঠে পড়লেন। হেঁটেই ওরা চলে এল পার্কিং লটে। রাঘববাবু নো এন্ট্রি টেপে ঘেরা ছাই রঙের একটা গাড়ির কাছে নিয়ে এলেন সৌরনীলকে। আরো কয়েকজন পুলিশ অফিসার রয়েছেন।
'দেখো, এই গাড়িটা।'
'ওরে বাবা, এ তো হেব্বি ঘ্যামা গাড়ি দেখছি, বিএমডব্লু।'
'হ্যাঁ, গত দু'সপ্তাহ ধরে এখানেই পড়ে আছে গাড়িটা। কে যে ফেলে গেছে বোঝা যাচ্ছেনা।'
'দু'সপ্তাহ! এতদিনে আপনাদের টনক নড়ল?'
'আর বোলো না। ঢাকা থাকায়, প্রথমে কেউ খেয়াল করেনি। অনেকসময়ই কোন ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটের পাইলটের গাড়ি এখানে থাকে। সে হয়তো লম্বা সফরে রয়েছে বা কোথাও আটকা পড়ে গেছে। এখানকার স্টাফেরা সেরকমই কিছু ভেবেছিল।'
'তারপর?'
'প্রথম সন্দেহটা হল কাল। বিকেলে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে গাড়ির ঢাকাটা উড়ে গিয়ে নম্বরটা বেরিয়ে পড়ল বলে।'
'ও, সেই জন্য? 'R-E-V-E-N-G-E' লেখা এরকম নাম্বার প্লেট আবার হয় নাকি?'
'সেটাই তো রহস্য। এরকম নম্বর প্লেট দেখেই সবার সন্দেহ হয়। তখনই খেয়াল হয়, যে দু'সপ্তাহ ধরে গাড়িটা পড়ে আছে, কেউ নিতে আসেনি। ব্যাস, থানায় খবর যায়।'
'তো কোন খোঁজ পেলেন নাকি?'
'কি খোঁজ পাব বলো। এরকম নাম্বার প্লেট আদৌ হয় নাকি? তারপর কে কার ওপর রিভেঞ্জ নিচ্ছে, সেটাই তো মাথায় ঢুকছেনা। পিলে চমকে গেছে সবার। এই নামে তো কোন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হতেই পারে না। তাই তুমি নিজেই একটু দেখো।'
'বুঝলাম। কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করেছেন? গাড়িটার একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল এবং সেটা কোন সাধারণ অ্যাক্সিডেন্ট নয়।'
(এরপর রহস্যের ঘনঘটা জানতে গেলে পুরো গল্পটা পড়তে হবে)
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment