বেশ কিছুদিন আগের কথা। তখন সবে চাকরি জয়েন করেছি,বর্ধমানে। আমি আর আমার স্কুল ফ্রেন্ড সুব্রত দুজনেই ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করি। মান্থলি আছে, যে ট্রেন আগে পাই তাতেই তড়িঘড়ি উঠে পড়ি। বাড়ি ফেরার তাড়া ।টিটিরাও সবাই চিনে গেছে ,কেউ কিছু বলে না।সুব্রতর আবার সিগারেটের নেশা। ট্রেনের দরজার ধারে ,বাথরুমের আড়ালে বা ভেস্টিবিউলের ফাঁকে দাঁড়িয়ে ও সিগারেট খাবেই।সেটাও কেউ বিশেষ কিছু বলত না। সুব্রত বড়লোক ঘরের ছেলে, বাবার বিশাল ব্যবসা ।ডানহিল, বেনসন হেজেস বা ফাইভ ফিফটি ফাইভ ছাড়া ধরাত না।
তো সেদিন হয়েছে কি, এক নতুন টিটি উঠেছে ট্রেনে। আগে কখনো দেখিনি। দেখলাম ও দিক থেকে বেশ কয়েকজনকে ফাইন করতে করতে আসছে ।মনে হল, বেশ কড়া ধাঁচের। মেল ট্রেনে চড়ার মাশুল আদায় করছে ডেলি প্যাসেন্জার সবার থেকে, কারো কোন কথা শুনছে না। বুঝলাম কেসের কোটা ফিলাপ- এর ব্যাপার আছে,তেঁটিয়া মাল। এদিকে সুব্রত তখন সবে সিগারেটটা ধরিয়েছে , ভেস্টিবিউলের ফাঁকে দাঁড়িয়ে। দেখলাম ঝামেলা আছে, ফাইন করবেই। ওকে বলতেই আমাকে তাচ্ছিল্য করে সরিয়ে দিল। বলল 'কত বড় টিটির বাপ আছে দেখব,তুই ফোট তো।' আমি আর কি করি, চুপ করে মজা দেখছি।টিটি যথারীতি এসে সুব্রতকে ধমকে বলল ' কি ব্যাপার, ট্রেনে সিগারেট খাচ্ছেন! নোটিশ পড়েননি?'সুব্রত বিন্দাস, সিগারেটে সুখটান দিতে ব্যস্ত, পাত্তাই দিল না ।টিটি রেগে বলল'কি হল?দিন ফাইন দিন।একশো টাকা ফাইন।' সুব্রত সিগারেটের ধোঁয়াটা খুব কায়দা করে ছেড়ে,মেজাজে মানিব্যাগ থেকে একটা পাঁচশ টাকার নোট বার করে ,বাড়িয়ে দিল। টিটি টাকাটা নিয়ে, একগাদা খুচরো টাকা পকেট থেকে বার করে গুনে ফেরত দিতে যাচ্ছিল। সুব্রত ওনাকে চমকে দিয়ে বলল, 'রেখে দিন দাদা, পুরোটাই রেখে দিন।মান্থলি।' সিগারেট নেভাবার নাম নেই,উল্টে সুব্রতর হাবভাবে সবাই বেশ একটা মজার খোরাক পেয়ে চেয়ে রইল ।টিটি একটু মিইয়ে গিয়ে অবাক হয়ে বলল 'মান্থলি!মানে?' সুব্রত গম্ভীর ভাবে বলল 'মানে কিছুই না, এরপর যতবার যাব, এ ট্রেনে এভাবেই সিগারেট খেতে খেতে যাব।তাই একেবারে মান্থলি কেটে নিলাম।বুঝলেন?' বোঝ ঠেলা।ফাইনের আবার মান্থলি!আশপাশের সব প্যাসেন্জাররা হো হো করে হেসে ওঠে। টিটি তো মহা অপ্রস্তুতে পড়ে যায়।পাঁচশ টাকার ব্যাপার,টাকা ফেরত দিতেও পারছে না,আবার ছেড়ে দিতেও পারছে না।মস্করাটা হজম করেই ব্যাচারা সুড়সুড় করে পরের কামরায় কেটে পড়ে।কামরায় তখন হাসির হুল্লোড়। আর কখনো সেই টিটি বাছাধনকে দেখিনি।
তো সেদিন হয়েছে কি, এক নতুন টিটি উঠেছে ট্রেনে। আগে কখনো দেখিনি। দেখলাম ও দিক থেকে বেশ কয়েকজনকে ফাইন করতে করতে আসছে ।মনে হল, বেশ কড়া ধাঁচের। মেল ট্রেনে চড়ার মাশুল আদায় করছে ডেলি প্যাসেন্জার সবার থেকে, কারো কোন কথা শুনছে না। বুঝলাম কেসের কোটা ফিলাপ- এর ব্যাপার আছে,তেঁটিয়া মাল। এদিকে সুব্রত তখন সবে সিগারেটটা ধরিয়েছে , ভেস্টিবিউলের ফাঁকে দাঁড়িয়ে। দেখলাম ঝামেলা আছে, ফাইন করবেই। ওকে বলতেই আমাকে তাচ্ছিল্য করে সরিয়ে দিল। বলল 'কত বড় টিটির বাপ আছে দেখব,তুই ফোট তো।' আমি আর কি করি, চুপ করে মজা দেখছি।টিটি যথারীতি এসে সুব্রতকে ধমকে বলল ' কি ব্যাপার, ট্রেনে সিগারেট খাচ্ছেন! নোটিশ পড়েননি?'সুব্রত বিন্দাস, সিগারেটে সুখটান দিতে ব্যস্ত, পাত্তাই দিল না ।টিটি রেগে বলল'কি হল?দিন ফাইন দিন।একশো টাকা ফাইন।' সুব্রত সিগারেটের ধোঁয়াটা খুব কায়দা করে ছেড়ে,মেজাজে মানিব্যাগ থেকে একটা পাঁচশ টাকার নোট বার করে ,বাড়িয়ে দিল। টিটি টাকাটা নিয়ে, একগাদা খুচরো টাকা পকেট থেকে বার করে গুনে ফেরত দিতে যাচ্ছিল। সুব্রত ওনাকে চমকে দিয়ে বলল, 'রেখে দিন দাদা, পুরোটাই রেখে দিন।মান্থলি।' সিগারেট নেভাবার নাম নেই,উল্টে সুব্রতর হাবভাবে সবাই বেশ একটা মজার খোরাক পেয়ে চেয়ে রইল ।টিটি একটু মিইয়ে গিয়ে অবাক হয়ে বলল 'মান্থলি!মানে?' সুব্রত গম্ভীর ভাবে বলল 'মানে কিছুই না, এরপর যতবার যাব, এ ট্রেনে এভাবেই সিগারেট খেতে খেতে যাব।তাই একেবারে মান্থলি কেটে নিলাম।বুঝলেন?' বোঝ ঠেলা।ফাইনের আবার মান্থলি!আশপাশের সব প্যাসেন্জাররা হো হো করে হেসে ওঠে। টিটি তো মহা অপ্রস্তুতে পড়ে যায়।পাঁচশ টাকার ব্যাপার,টাকা ফেরত দিতেও পারছে না,আবার ছেড়ে দিতেও পারছে না।মস্করাটা হজম করেই ব্যাচারা সুড়সুড় করে পরের কামরায় কেটে পড়ে।কামরায় তখন হাসির হুল্লোড়। আর কখনো সেই টিটি বাছাধনকে দেখিনি।
অপূর্ব হয়েছে লেখাটা। পড়ে খুব ভালো লাগলো।
ReplyDelete