18 January 2019

ভেতরের কথা

কোনকিছুই ঠিকঠাক করে উঠতে পারছি না। সাজাতে পারিনি কিছুই, এমনকি নিজেকেও। ছাপোষা, মধ্যবিত্ত, মধ্যমেধার একটা জীবন টেনে নিয়ে চলেছি। যতদিন বাঁচব ,এর থেকে আর মুক্তি নেই।মুক্তি তো পেতেই চেয়েছিলুম। সেই ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে মামাবাড়ির ছাদে ঘুঁড়ি ওড়াতে ওড়াতে ।আমারই ঘুঁড়ি দূর আকাশের বুকে উড়ে বেড়াচ্ছে, ঘুঁড়িটা যেন আমিই। কিন্তু সেই রাজত্ব বেশিক্ষন টিঁকল না, সুতো কেটে উড়ে গেলো আমার সাধের ঘুঁড়ি ,বুক ফাটিয়ে ভেসে গেল।একটু বড় হয়ে ছবি আঁকা শুরু করলুম।কিন্তু মনের পর্দায় যে রঙের সমারোহ, আমার ছোট্ট খাতার পাতায়, কিছুতেই তা এ জীবনে ফুটিয়ে তুলতে পারলুম না। এ আমার আর এক পরাজয়। শেষমেষ সব ছেড়ে লিখতে বসলুম। মনের মধ্যে ততদিনে জমে উঠেছে অনেক কথা, অনেক আবেগ, অভিমান । ডায়েরির পাতায় পাতায় সেসব লিখে ফেলতে লাগলুম , কিছু উড়িয়েও দিলুম ।ভাবতুম, উড়ে গেছে ,বেশ হয়েছে, কতই তো হারিয়ে যায় ।শুধু নিজের শিরায় শিরায় যা বয়ে চলে ,তাই আসলে নিজের ।তাই ক্ষইয়ে ক্ষইয়ে নিজেকে শেষ করে দিতে হয়,তবে শান্তি। এই আমার আসল কথা, ভেতরের কথা।আগুন আর জল নিয়েই আমার কারবার ।নিজেকে নিভিয়ে গড়ি। পরিশ্রুত হই ।সব কথা একদিন শেষ হবে। কেউ হাতের তেলোয় নিয়ে নাড়াচাড়া করবে ।বড্ড চঞ্চল আঁজলা ভরা সে জলটুকু হয়ত তার হাত গলে গড়িয়ে পড়ে যাবে। তবু তারার আকাশে ঝিকিমিকি থামবে না ,জানি সেই সব তারা একদিন বৃষ্টি হয়ে নামবেই।(সারাংশ)

No comments:

Post a Comment